১)
এক
হিন্দু বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে , বিশাল
আয়োজন। ঘৃত, প্রসাদ ,ব্যঞ্জন সব প্রস্তুত ।পুরোহিত
ঠাকুর কিছুক্ষন পর পর মন্ত্র পড়ছেন আর আগুনে ঘৃত ঢালছেন । এর মধ্যে অনুষ্ঠানে
প্রবেশ করলেন আরেক পুরোহিত, ঢুকেই
তার চক্ষু চড়ক গাছ ! হায় হায়
পুরোহিত একি করেছেন ? যা যা
দরকার তার তিন গুন চার গুন জিনিসপত্র আনিয়েছেন, হঠাৎ তিনি ঐ ঠাকুরের দিকে তাকিয়ে বললেন-
'' একি অদ্ভুতাং এমন তো কভু দেখিনি ভালাং ?''
তখন মন্ত্র পড়া পুরোহিত মুখ তুলে তাকিয়ে বললেন --
'' চুবালাং চুবালাং
তুঝে মুঝে আধালাং আধালাং ''
'' একি অদ্ভুতাং এমন তো কভু দেখিনি ভালাং ?''
তখন মন্ত্র পড়া পুরোহিত মুখ তুলে তাকিয়ে বললেন --
'' চুবালাং চুবালাং
তুঝে মুঝে আধালাং আধালাং ''
২)
এক বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে আমরা বন্ধু বান্ধব সবাই মিলে যাচ্ছিলাম, আমরা একটি মাইক্রোবাসে রওনা দিলাম, মাইক্রোবাসের ড্রাইভার টিও আমাদের বয়সী ছিল।যেহেতু বিয়ে বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে তাই সবার মত সেও খুব মানজা মেরে খানজা দিয়ে পোশাক পড়েছে, অনুষ্ঠানস্থলে পৌছানোর পর যথারীতি খাওয়া দাওয়া সেরে সবাই খোশ গল্পে মেতে উঠলাম, কনের ভাই ভগ্নী আরো আত্বীয় স্বজনেরা আমাদের সাথে ছিলেন, বরের ভাই আমাদের কে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন, আমরা সবাই সবার পরিচয় দিচ্ছি, কেউ বলছে আমি অমুক নটর ডেম কলেজে পড়ি, কেউ বলছে আমি অমুক ঢাকা কলেজে পড়ি, কেউ বলছে আমি রেসিডিন্সিয়াল কলেজে পড়ি। এরমধ্যে যার পরিচয় দেবার পালা এলো তাকে দেখে কেউ বুঝতে পারছেনা যে সে ছাত্র নয়, তার পোশাকে ফিটফাট এর জন্যে এটা হয়েছে, সে আর কেউ নয় আমাদের সাথে যাওয়া ড্রাইভার। সে কোন কিছু বুঝতেই দিল না, ফট করে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে যে আমার নাম জিশান(বাস্তবে তার নাম জুলহাস মিয়া), আমি ইটেন কলেজে পড়ি , আর সাথে সাথেই সবাই হা হা হা করে হাঁসতে লাগল ।
৩)
জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরী ফার্ম গেইট, পড়ন্ত বিকাল, ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ব্যস্ত গতিতে গাড়ি চলাচল করছে,একটা বাস থামল, বাস থেকে নামছেন আমাদের এক সহপাঠী সিন্থিয়া, আমাদের দেখেই চিৎকার করে ডাকতে লাগলেন আর বলতে থাকলেন এই তোমরা একটু এদিকে আসো ,বাসে একটি লোক আমার ওড়না ধরে টান মেরেছে, আমরা দৌড়ে গিয়ে অই লোক টিকে ধরে ফেললাম,লোকটি বললে ভুল হবে ,কারন তার বয়স হবে ত্রিশের মত। আমরা তাকে বাস থেকে নামিয়ে আনলাম, এরপরে তাকে কিছু উত্তম মধ্যম দেয়া হল, আমাদের বান্ধবী সিন্থিয়া ছিল খুব নরম শান্ত শিস্ট স্বভাবের এবং একাডেমিক ভাল রেজাল্টের অধিকারী যে কারনে তাকে আমরা সবাই খুব পছন্দ করতাম
,সে জন্যে
উত্তম মধ্যম ভাল হচ্ছিল, এক
পর্যায়ে সেই অভিযুক্ত ছেলেটি আমাদের বলছে যে প্লিজ আমাকে মাফ করুন আমি ইচ্ছাকৃত
এটা করিনি,আর
আপনারাও বিস্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,আমি তখন বলি যে কোন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আপনি ? সে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, তখন আমরা একটু শান্ত হলাম, জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনি কোন
সাবজেক্টে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ? সে উত্তর দেয়- আমি সাইন্সে পড়ি ! মানে ? সে বলে আমি সায়ন্সে পড়ি আর মধুর
কেন্টিন হোস্টেলে থাকি ,
সাথে সাথেই সবাই অট্রহাসিতে ফেটে পড়ল আবার শুরু হয়ে গেল ঢিসুম ঢাসুম ।
সাথে সাথেই সবাই অট্রহাসিতে ফেটে পড়ল আবার শুরু হয়ে গেল ঢিসুম ঢাসুম ।
আমি হাঁসতে হাঁসতে বললাম যে '' একি অদ্ভুতাং এমন তো কভু দেখিনি নি ভালাং?
আমার সাথে থাকা বন্ধুরা তখন বলছে ''শালাং বেটাং , , চাপাং ধরাং পড়াং ''
আমি আবার ছড়া কাটলাম '' একি অদ্ভুতাং এমন তো কভু শুনি নি ভালাং?
আমার বন্ধুরা সুর মিলায় ''শপাং শপাং , চাপাং ধরাং পড়াং ''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন