বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

ফেবুতে হবু ? যাবি আর কভু ?




নওরীন জাহান নীলিমা হোম ইকোনমিক্সে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে । ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত তাদের মফস্বলের শহরেই পড়েছেন, সেখানে তার বাবা একটা সরকারী অফিসে অফিস সহকারীর কাজ করেন । দুই বোন এক ভাই এর মধ্যে নীলিমা সবার বড় , তার বাবার খুব ইচ্ছে ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন , এজন্য তার ছোট বোন যে সামনের বছর এসএসসি পরীক্ষা দিবেন তাকে ৩টি বিষয়ের জন্য ৩ জন শিক্ষকের কাছে পড়ান এবং ক্লাস সিক্সের  ছেলে কে ক্যাডেট এ দেওয়ার জন্য কোচিং করান । ছেলেমেয়ে দের মধ্যে একমাত্র নীলিমা একটু নিরীহ টাইপের কিন্তু নীলিমার ফেস খুব কিউট অদ্ভুত এক ধরনের স্নিগ্ধতা কাজ করে , তাকে বোকা সুন্দরী বললেও ভুল হবে না । কিছুটা ইন্ট্রুভার্ট এই নীলিমাকে এলাকার অনেক ছেলে প্রেম নিবেদন করেছে কিন্তু তাতে তার কোন বিকার নেই, তার এই ধরনের নির্লিপ্ততার জন্য প্রেম নিবেদনকারী ছেলেরা নিজে থেকেই সটকে পড়েছে ।

ঢাকায় নীলিমা তার চাচার বাসায় থাকেন , তার বাবার আপন চাচাত ভাই এর বাসা আজিমপুরে , চাচার দুই মেয়ে স্কুলে পড়েন , চাচা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিসে উচ্চমান সহকারীর চাকুরী করেন ।  নীলিমার বাবা তাই নীলিমার থাকা খাওয়া বাবদ ৩ হাজার টাকা পাঠান সেই চাচার কাছে ।
একবছরের বেশি সময় ঢাকাতে পার হলেও নীলিমা এখনো একা চলতে ভয় পান, বাসা থেকে রিকসায় কলেজে যান আবার ফিরে আসেন ।
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার নীলিমার বাবা আর মা নীলিমার মোবাইলে ফোন দিয়ে তার খোজ খবর নেন , নীলিমার মামা সিংগাপুর থাকেন, ভাগ্নির জন্য একটা দামী মোবাইল সেট পাঠিয়েছেন কিন্তু তার বাবা সেই মোবাইল টি হারিয়ে যাবার ভয় এ তাকে ওয়ালটনের একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিয়েছেন , এই ফোনে সে ইন্টারনেট ও ব্যবহার করতে পারে ।

ক্লাসে এখনো তার খুব বেশি ঘনিষ্ঠ কেউ হয় নাই , তাই সে ক্লাস রুমে টিচার না থাকলে লাইব্রেরীতে গিয়ে বই পড়েন , লাইব্রেরীতে ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন তাই এখানে ভিড় বেশি । নীলিমা দেখেন যে সবাই যার যার মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত , রেগুলার এই সিনারিও দেখতে দেখতে সে নিজেও এখন মোবাইলে ওয়াই-ফাই কানেকশন ও ইন্টারনেট ইউজ বুঝে নিয়েছেন, কিন্তু নিজের মোবাইলে কানেক্ট করার পরেও সে অন্যদের মত এটাতে এত ব্যস্ত হতে পারছে না, গুগলে ঢুকছে, কিছু মুভি আর বলিউডের নায়ক নায়িকা এই তার ইন্টারনেট ইউজ , এর মাঝে সে তার পাশে বসা নিপুন কে জিজ্ঞেস করলো তোমার মোবাইলে কি দেখতে পারি কি নিয়ে তোমরা এত ব্যস্ত ? নিপুন মোবাইলটি এগিয়ে দেয় , সে দেখতে পায় এটা ফেসবুক ।আস্তে আস্তে সে নিপুনের কাছে ফেসবুকের খুঁটিনাটি সব জেনে নেয় ।

 কারণ কয়েকদিন আগে একজন শিক্ষক ক্লাসে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে ১০৫ জন ছাত্রীর মধ্যে তোমরা কতজন ফেসবুক ব্যবহার কর ? ৯৫ জনই ব্যবহার করেন , মাত্র ১০ জন ব্যবহার করেন না, নীলিমা তাদের মধ্যে একজন । তাই সে সিদ্ধান্ত নিল যে ফেসবুকে একাউন্ট খুলবে , এজন্য সে নিপুনের হেল্প নিল, নিপুন তাকে ওর নিজের ল্যাপটপ এনে প্রথমে একটা ই-মেইল আইডি তারপরে ফেসবুকে  নওরীন জাহান নীলিমা নামে একটা আইডি খুলে দিল , তার আগে মোবাইলে নীলিমার একটি ছবি তুলে সেটাকে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে দিয়ে দিল , নীলিমা কে সে এড করে ফেলল, নিপুন হয়ে গেল নীলিমার প্রথম ফেসবুক ফ্রেন্ড ।

 এরপরে সে প্রতিদিন লাইব্রেরীতে যায় ফেসবুক ইউজ করার জন্য , নিপুন ক্লাসেই আছে তারপরেও তাকে মেসেজ পাঠায়
– hello
-How are you ?
-what do you do ?
-what meal you have taken in this morning ?



নিপুন উত্তর দেয়
  –f9
 -9thng
 - cl u ltr

নীলিমা মেসেজগুলো বুঝতে পারে না, পরে নিপুন তাকে এই আব্রিভিয়েট গুলো বুঝিয়ে দেয় , নীলিমা তাতে শুধু হাঁসে । এরমধ্যে তার ১০০ এর বেশি বন্ধু যোগ হয়েছে , তার মফস্বল শহরের পরিচিত কিছু মুখ, আত্নীয় স্বজন এবং চেনেন না কিন্তু নিপুনের মিউচুয়াল বন্ধু এমন রিকোয়েস্ট গুলোকে সে একসেপ্ট করেছে । যদিও তার স্নিগ্ধ লাবণ্য চেহারার প্রোফাইল পিকচার দেখে প্রতিদিন হিউজ রিকোয়েস্ট আসে , কিন্তু নিপুন তাকে বলেছে বুঝে শুনে এড করতে না চিনলেও মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে এমন গুলো এড করতে । এভাবেই সে আরিয়ান খান নামে একজন কে একসেপ্ট করেন ।


আরিয়ান খান, প্রোফাইল পিক দেখলে মনে হবে কোন মডেলের ছবি, ভীষণ হ্যান্ড-সাম এই আরিয়ান খান, সে নীলিমাকে প্রথম মেসেজ দেয়
  –hey pretty
-Wanna be yours
 -Awesome


নীলিমা কিছু বুঝে উঠতে পারছেনা ঠিক কি রিপ্লাই দিবে? কি থেকে কি দিয়ে হাস্যকর না হয় সেজন্য চুপ থাকে ,
অনেকক্ষণ পরে আবার আরিয়ান খান মেসেজ দেয়
–hey pretty
-R u dumb ?
 নীলিমা তখন শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলির ছবি সম্বলিত লাইক টি সেন্ড করেন । 


এভাবে প্রায় মাস-তিনেক সময় পার হল , ইতিমধ্যে নীলিমা ফেসবুক বুঝে ফেলেছে , আরিয়ান খানের সাথে তার প্রেম হয়ে গেছে , এখন নীলিমা মেসেজ দেয়
-babu  need a puppy
- wanna hug u
-BRB

নীলিমা ভীষণভাবে ভালবেসে ফেলেছে আরিয়ান খান কে , কিন্তু এখন ও তাদের দেখা হয়নি , মোবাইলেও কথা হয়নি , কথা হয় মেসেঞ্জার এ, সারাক্ষণ চ্যাট আর চ্যাট , নীলিমা এখন শুধু লাইব্রেরীর আশায় বসে থাকে না , সে ইন্টারনেটের প্যাকেজ কিনে পয়সা বাঁচিয়ে, যাতে সে বাসায় ও রাতে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে । আরিয়ানের সাথে সারাক্ষণ শুধু প্রেম ভালবাসা আর আমরা বিয়ের পর এটা করব ওটা করব এসব কথা , কিন্তু নীলিমা এখনো জানেই না যে আরিয়ান কোথায় থাকে ? বাবা মা ভাই বোন কিছুই জানে না, শুধু জানে ওদের বাসা গুলশানে আর সে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ তে ৫ম সেমিস্টারে পড়ছে ।

  তাই আরিয়ানের সাথে দেখা করার জন্য নীলিমা উদগ্রীব হয়ে আছে , প্রতিদিনই বলে কবে তোমার সাথে দেখা হবে?আরিয়ান বলে খুব শীঘ্রই , এভাবে দিন গুনতে গুনতে হঠাৎ আরিয়ান মেসেজ দেয় বাবু আগামীকাল তোমার সাথে দেখা করতে চাই । নীলিমা বলে- পাক্কা ? সে জবাব দেয় পুরাই পাক্কা । আগামীকাল বিকাল ৩ টায় বেইলী রোড সুইস এর সামনে থাকবে , আমি তার আগেই সেখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করতে থাকব। নীলিমা বলে ঠিক আছে বাবু ।

নীলিমার মধ্যে এক অস্বাভাবিক উত্তেজনা ও কাল্পনিক আবেশ কাজ করছে , শুধু মনে হচ্ছে কখন বিকাল ৩ টা বাজবে ? আজ সে অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠেছে কিন্তু কলেজে গেল না, চাচীকে বলল বিকালে কলেজের একটা প্রোগ্রামে যেতে হবে তাই এখন আর যাবে না । নীলিমা কলা পাতা রঙের একটা শাড়ী পড়েছে, সাথে এত টাই সাজ যে চাচী তাকে বলেছে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে, সত্যি সত্যি কলেজের অনুষ্ঠান নাকি অন্য কিছু ? নীলিমা লাজুক ভঙ্গীতে শুধু বলে কি যে বলেন না চাচী ।

৩ টা বাজার ১০ মিনিট আগেই সে পৌঁছে গেছে , কিন্তু আরিয়ান কোথায় ? মোবাইল নাম্বার টাও নাই , লগ ইন করে মেসেঞ্জারে ঢুকল ফোন দিবে বলে কিন্তু আরিয়ান অফ লাইন , তার এভাবে একা দাঁড়িয়ে থাকতে খুব বিরক্ত লাগছিল , ৩ টা ২০ বাজে, তখন নীলিমার কান্না পাচ্ছে , ঠিক সেই সময় একটা ছেলে পিছন থেকে হালকা টোকা দিয়ে বলে দিস ইজ আরিয়ান , নীলিমা ঘুরেই কিছুক্ষণ থ হয়ে তাকিয়ে থাকে , কিন্তু ছবির আরিয়ান আর এই আরিয়ানের মাঝে বিস্তর তফাৎ!

আরিয়ান বলল- কি ভাবছ ? এটা কেমনে আরিয়ান হয় তাই তো? সাথে সাথেই ফেসবুকের আরিয়ানের ছবি মোবাইল থেকে বের করে দেখায়, নীলামার মেসেজ-গুলোসহ, নীলিমা শুধু বলে অনেক অমিল , আরিয়ান বলে ফেসবুকের পিক টা আমার মেক আপ সহ , নীলিমা তখন বলল আমি কি বলেছি তুমি আরিয়ান নও, কিন্তু এখন বল আমাকে কেন এত ক্ষণ অপেক্ষা করালে ? আরিয়ান বলছে বাবু তোমাকে নিয়ে মোটর বাইকে ঘুরবো অনেকবার বলেছি, কাল রাতে আমার মোটর সাইকেল চুরি হয়ে গেছে ,তাই মন খারাপ ছিল, আমার মন খারাপ আমার ড্যাড শয়তে পারে না , আজই এবং এক্ষনি মোটর সাইকেল কিনব, চলো , আর আমার এই টুক টুক বউ টাকে নিয়ে সারা ঢাকা শহরে উড়ে বেড়াব।

নীলিমা বলছে বউ মানে ?
তুমি বউ
তোমাকে টুকটুকে বউ এর মত লাগছে বাবু ,
চল আমি আগে মোটর বাইক কিনি তারপরে অন্য কিছু , আরিয়ান নীলিমা কে নিয়ে মগবাজারের একটি মোটর সাইকেলের দোকানে যায় , সেখানে সে একের পর এক বাইক দেখতে থাকে , নীলিমাকে জিজ্ঞেস করে- বউ বলতো কোন বাইক টি কিনব? তোমার পছন্দ যেটা সেটাই কিনব, নীলিমা শুধু বলে যাও আমি কিভাবে বলব, আমি এটা ঠিক বুঝি না, তোমার যেটা ভাল লাগে সেটা কিনো ।

আরিয়ান আর নীলিমা যে শোরুমে সেটার নাম এম এস অটোমোবাইল এন্ড ট্রেডার্স , সে একটা DAYAANG  মোটর বাইক পছন্দ করে কাউন্টারে যেখানে নীলিমা বসা সেখানে গিয়ে বলে বউ ঐটা পছন্দ করলাম, কেমন হবে? নীলিমা বলে ভাল, এরপরে সে কাউন্টারে যার সামনে নীলিমা বসে তাকে বলে ভাই আমি একটু গাড়িটা ট্রায়াল দিতে পারি?
আমার ওয়াইফ তো এখানে বেসেই আছে , কাউন্টারের সেই ভদ্রলোক বললেন শিউর , আপনি ট্রায়াল দিয়ে আসুন আমি ম্যাডাম কে ড্রিংক্স দিয়ে আপ্যায়ন করতে থাকি,
 তখন  বিকাল ৪ টা ,আরিয়ান মোটর বাইক নিয়ে বের হয়ে গেল শুধু যাবার সময় নীলিমাকে বলল- বউ তুমি ১০ মিনিট বসো আমি এসে পড়ব ।


বিকাল  ৫ টা বেজে গেল তাও আরিয়ানের খবর নাই, শোরুমের লোকেরা নীলিমা কে বলছে আপনার স্বামীকে ফোন দেন, কোথায় গেল?
নীলিমা রীতিমত ভয় পেয়ে গেছে , কাঁপা কাঁপা গলায় শুধু বলল আমরা এখনো বিয়ে করিনি আর ওর ফোন নাম্বার আমার কাছে নেই ,
কি বললেন ??এটা কেমনে সম্ভব , আপনি তাহলে উনি যাবার সময় কিছু বললেন না কেন ?
ম্যানেজার বলছেন আমার তো মনে হয় সে আসবেনা, ঠিক আছে আমরা আরেকটু দেখি , সন্ধ্যা ৬ টার সময় ম্যানেজার বলল ঐ গাড়ির দাম ৭০ হাজার টাকা , এই টাকা আপনি দিবেন আর তা না হলে আমরা পুলিশ কে খবর দিব ।


সন্ধ্যা সাড়ে সাত টা , নীলিমার চাচা ও বান্ধবী নিপুন রমনা থানা তে , নীলিমা কে মহিলা হাজত খানাতে রাখা হয়েছে, ওসি সাহেব সব কিছু জেনে তার চাচাকে পুরো ঘটনা বললেন , এখন উপায় আছে ২ টি ,  ৭০ হাজার টাকা  এমএস অটোমোবাইল এন্ড ট্রেডার্স কে দিয়ে দিলে ঝামেলা চুকে যায় আর তা না হলে আপনার ভাতিজি কে জেলে যেতে হবে ।  চাচা ওসির হাত ধরে বললেন স্যার আপনি তো বুঝছেন আমার ভাতিজি প্রতারণার স্বীকার , এরপরে আমরা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ , হঠাৎ করে ৭০ হাজার টাকা কেমনে দিব

ওসি বলল আরে ভাই আমি তো বুঝলাম কিন্তু শোরুম ওয়ালা তো মানতেছে না , চাচা দুহাত মাথায় দিয়ে থানার বারান্দায় বসে পড়লেন, চাচাকে দেখে নীলিমা চিৎকার দিয়ে কেঁদে  উঠলেন, বলতে লাগলেন- চাচাগো আমারে বাচাও, আমি কোন অপরাধ করি নাই, আমি প্রতারণার স্বীকার, চাচা তুমি আমার আব্বা মারে খবর দাও, মায়ের অলংকার বিক্রি কইরা আমারে এখান থেকে নিয়ে যাও ।

রাত আড়াইটার সময় নীলিমার বাবা মা রমনা থানা তে এসে ৫০ হাজার টাকা নগদ আর বাকী ২০ হাজার টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করবেন মর্মে চুক্তিনামা দলিলে সাইন করার পর নীলিমা কে ছেড়ে দেয় পুলিশ ।

আহা! কি নির্মমতা , এভাবেই প্রতিনিয়ত ভারচুয়াল ধোকাতে পা দিচ্ছে হাজার হাজার নীলিমা , যাদের সরলতা কে যাদের বিশ্বাস কে পুঁজি করে এর চেয়েও ভয়ানক কিছু ঘটতে পারে , তাই শুধু ফেসবুক নয় যেকোনো সামাজিক মাধ্যমের পরিচয় প্রণয় গুলো যেন এমন পরিণতিতে না যায় , আমাদের তরুণদের   উচিত
ভার্চুয়াল দুনিয়ার এই হাতছানি ও মোহকে অতিক্রম করা ।

নৈতিকতা সহমর্মিতা সৌজন্যতা বোধ-বিহীন কোন সম্পর্কই সম্পর্ক নয় এটা আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এই যুব সমাজের ভিতরে যেন প্রোথিত থাকে ।  

(একটি বাস্তব ঘটনার ছায়া অবলম্বনে )

৩টি মন্তব্য:

  1. তরুণদের নৈতিকতা সততা শিখতে হবে। মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবেনা। তাহলে এ ধরণের ঝুঁকিতে কেউ পড়বেনা।

    উত্তরমুছুন
  2. দেশটা চিটার বাটপারে ভরে গেছে....:-(

    উত্তরমুছুন