বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

লাদেনেরে করস ফায়ার দিসে আমেরিকার র্যা বে



ভার্সিটিতে পড়ার সময় আমাদের হলের পাশের এলাকায় ওয়াজ হচ্ছিল, ওয়াজ ফরমাইছেন মাওলানা আশেকপুরী ইলিয়াস শাহী খাজে দরবারে আজম ইসমে এসকান্দার আলহাজ হযরত মাওলানা জাফর শাহ  কুতুবপুরী,   হলের নিকটবর্তী হবার কারনে মাইক এ আমরা হল থেকেই সব স্পস্ট শুনতে পাচ্ছিলাম, বরাবরই এসব ওয়াজ মানেই কিছু সুড়সুড়িমুলক কথা বার্তা আর ঢোক গেলান কিছু বিষয় ওয়াজের সাথে জুড়ে দেয়া যাতে করে পাবলিক বেশি বেশি খায় ! আর মাওলানা জাফর শাহ  কুতুবপুরী নাকি  এটার ওস্তাদ । যথারীতি শুরু হল বয়ান বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের পর্দার কথা
-   বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের দেখলে আমাদের খাড়া হয়ে যায় , কি খাড়া হয়ে যায় ? আমাদের শরীরের পশম খাড়া হয়ে যায়
-    জোরে বলেন নাউজুবিল্লাহ !

-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের দেখলে আমাদের পড়ে  যায়, কি পড়ে যায় ?আমাদের চোখের পানি পড়ে যায়,
-    জোরে বলেন নাউজুবিল্লাহ !

ওয়াজের বয়ান শুনে যেখানে আমাদের ধর্মীয় অনুভুতির সৃষ্টি হবার কথা সেখানে আমরা হাসতে লাগলাম । এরপরে গেলেন আরেকটা বিষয় লাদেন , তখন দেশে তোলপাড় অবস্থা প্রয়াত আধুনিক কবি শামসুর রাহমানের উপর হামলা
মাওলানা শুরু করলেন- লাদেনের নাম শুনলে কিলিন্টন জগে জগে পানি খায় আর তার কি কোন ঠেকা যে উনি শামসুর রাহমানের উপর হামলা করছেন ?

বহুদিন পরে আবার আলোচনায় লাদেন,  ২০১১ সালের ২রা মে আম্রিকান বাহিনীর হাতে ধরাশায়ী হয়েছেন এবং প্রান দিয়েছেন,
কেউ বলছেন পাকিস্থান জানে ,আশ্রয় দিয়েছে , আবার কেউ বলছেন লাদেন জীবিত ধরা পড়েছেন , কেউ বলছেন এটা লাদেন না অন্য কেউ এটা আম্রিকান সি আই এর পেচগি ! এ ধরনের নানা তকমা মেশান কথা চলছে

সেই সময়ের কথা দুপুর বেলায় পল্টনে যাব, বাসার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি সিএনজি থামানোর জন্যে , আমি নিরুপায় হয়ে প্রায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে আছি , পাশের ঘুন্টি দোকানে এই এলাকার রিকসা ওয়ালারা দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম নিচ্ছে আর চা খাচ্ছেন, আলাপ বেশ জমেছে, বিষয় লাদেন ,
আমি আগ্রহের সাথে তাদের আড্ডার কথা শুনতে চেষ্টা করছি , একজন বলছেন আহারে ! আম্রার মুসল্মান গোর নেতা আছিল লাদেন, হেরেউ করস ফায়ার দিলো আম্রিকার রেপে, আরেকজন বলছে -রেপ তাইলে আম্রিকাতেও আছে ?

হেই রেপও কি কালা ডেরেস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন