দীর্ঘ দিন ধরে একটি প্রতারকচক্র যমুনা
টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আলমগীর স্বপনের নাম বলে রেলওয়ের উর্ধ্বতন বিভিন্ন
কর্মকর্তাদের ফোন দিয়ে বলে আসছিল যে তিনি একটি রিপোর্ট করবেন যা ঐ কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে যাবে, তিনি এই রিপোর্ট থেকে রেহাই পেতে চাইলে যেন তার দেয়া নাম্বারে
বিকাশ করে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তাদের এমনও বলেছেন যে
আমি আলমগীর স্বপন ,অমুক যায়গায় আমার আত্ত্বীয় এর বিয়ে
অখানে আপনি ১ লাখ টাকা ডোনেট করবেন । ক্রমাগত এমন টেলিফোনে উক্ত কর্মকর্তাগন
আলমগীর স্বপন কে বিষয়টি জানান, এর প্রেক্ষিতে আলমগীর স্বপন গত ০৭-০৭-২০১৪ তারিখে রিপোর্টিং এর
জন্যে সৈয়দপুর এলে রেলওয়ে থানায় একটি জিডি করেন।
সেই জিডির প্রেক্ষিতে ০১৮---------২ এবং ০১৫-----------৪ নাম্বার দুটির লোকেশন পাই সৈয়দপুরেই
এবং রবি নাম্বার টির রেজিস্ট্রেশনের ঠিকানা পাই। যাচাই করে ঠিকানাটি সঠিক
পাই।এরপরে ঐ ঠিকানার উল্লেখিত ব্যাক্তি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আলমগীর স্বপনের পক্ষে
তার ভগ্নীপতি সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি প্রতারনা মামলা করেন।
গত ৭ দিন ধরে উল্লেখিত রবি নাম্বার টির কল
রেকর্ড বিশ্লেষণ ও সর্বোচ্চ কল নাম্বারগুলোর কল রেকর্ড সংগ্রহ করে মোটামুটি ভাবে
নিশ্চিত হই যে রেজিস্ট্রেশনে প্রাপ্ত ব্যক্তি নুরুল হুদা এটা করছেন না, অথচ ঠিকানা তে নুরুল হুদার ছবি ও জাতীয়
পরিচয় পত্রের কপি আছে, গতকাল নুরুল হুদা কে পাবার পরে তার প্রকৃত পরিচয় পত্র যাচাই করে
দেখা যায় যে সিম রেজি এ ব্যবহৃত কপি এক নয় । প্রকৃত কপির ছবি টাই ছাড়া আর সিম এর
রেজি তে ছবি টাই পরা , তখন বুঝতে পারি যে নুরুল হুদা প্রকৃত অপরাধী নয় ।
এরপরে
নুরুল হুদা জানান যে তিনি দুই বছর আগে নীলফামারী ইপিজেড এ চাকুরীর জন্য শাহজাহান
নামে এক ব্যক্তিকে সিভি , ছবি ও ন্যাশনাল আইডি এর কপি দিয়েছিলেন এবং আরো জানান যে ঐ
ছেলেটি চাকুরী দিবে বলে অনেকের কাছে টাকা নিয়েছেন, ছেলেটির এলাকার রিপোর্ট ভাল না । এদিকে
উল্লেখিত রবি নাম্বার টির সর্বোচ্চ কল যার সাথে পাই তার সিমের রেজি ঠিকানা পাই – শাহজাহান , টেলিটক নাম্বারটির সাথেও শাহজাহানের
কল। আর এই শাহজাহান হচ্ছে নুরুল হুদার বর্ননা মতে যাকে সিভি দিয়েছিল সেই শাহজাহান
।এছাড়া রবি নাম্বারের imei নাম্বার আর শাহজাহানের ব্যবহৃত imei নাম্বার সেইম, এটাই প্রমান করে যে শাহজাহানই প্রকৃত
অপরাধী ।
শাহজাহান নুরুল হুদার নামে সিম কিনেছে এই প্রতারনায়
সিমটি ব্যবহারের জন্য যাতে সবাই বুঝে যে প্রতারনার কল টি যাচ্ছে নুরুল হুদার কাছ
থেকে । আমার গত কয়েক দিনের নিরলস পরিশ্রমের ফলে এবং তদন্তে অভিজ্ঞ সাজু মিয়া ,ওসি সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা, এবং মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা
সিদ্ধার্থ এর প্রচেষ্টায় এই প্রতারক চক্রের
মুল হোতা শাহজাহান কে গ্রেফতার করি এবং সে স্বীকার করেছে যে এটা সেই করত ,প্রতারনার কাজটি বেশি সাবধানে করার
জন্য রবি নাম্বারটি তার শশ্বুরবাড়িতে রাখত ।
এখানে কিছু লক্ষনীয় বিষয় আছে-
এখানে কিছু লক্ষনীয় বিষয় আছে-
একজনের
ছবি, জাতীয় আই ডি ব্যবহার করে আরেকজন সিম নিচ্ছেন,
সিম
প্রদানকারী দের উচিত ছিল উক্ত ছবি ও আইডির প্রকৃত লোক কে সিম টি দেয়া,
তাহলে এটা হত না ।আপনি কি জানেন এভাবে আপনার ছবি
ও জাতীয় আইডি এর কপি দিয়ে অন্য কেউ তা ব্যবহার করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে ? এ ব্যাপারে মোবাইল কোম্পানীগুলো এবং
আমরা যারা মোবাইল ইউজ করছি তারাও যেন সচেতন থাকি ।
Fb link-
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152577552639592&set=a.10150260201839592.353598.709979591&type=3&theater
https://www.facebook.com/alamgir.swapan/posts/10152438847427284:0
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন