শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

নৈতিক শক্তির বিপর্যয়, কিন্তু কেন ?



নৈতিক শক্তির বিপর্যয়, কিন্তু কেন –

ঠাকুরগাঁওয়ে পরকিয়ার বলি- অন্তর কে জবাই করে হত্যা: , 

পারিবারিক মুল্যবোধের পরিবর্তিত রূপ পারিবারিক মুল্যবোধের শিক্ষা বর্তমানের টেকনো বেইজড সময়ে আগের রূপ হারিয়ে ফেলছে , যার প্রভাবে আমরা মুল্যবোধের চেয়ে মোহের দিকে বেশি ধাবিত হচ্ছি । এই মোহ থাকে মোবাইল ফোনের বন্ধুর সাথে কথা বলাতে, ফেসবুকে অপরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ ও পরিচিত হতে পেরে , ডিশের নানান চ্যানেলের অসম সম্পর্কগুলোর ঘটনা দেখে তা এক ধরনের mens rea (অপরাধের মানসিক স্থাপন) তৈরি করছে , এই mens rea গুলোর output হচ্ছে actus reus (অপরাধ সংগঠন ) , এর ফলেই ঘটছে জঘন্য ও বর্বর হত্যাকান্ডের মত অপরাধ ।
key point
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
- ক্রেজি ড্রাগস ও মাদক
- আকাশ সংস্কৃতি ও অসম সম্পর্কগুলোর উদ্দীপনা
- মোবাইল ফোন
- পরকীয়া
- টেকনো প্রজন্মের মুল্যবোধের শুন্যতা
- পারিবারিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দের অভাব
- মানসিকতার দ্রুত পরিবর্তন
- সামাজিক অস্থিরতা
- যৌথ পরিবারের বিলুপ্তি
- পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের অনুপস্থিতি


ঠাকুরগাঁওয়ের যুবক অন্তর (১৮) হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে সদর থানা সূত্রে জানা গেছে। শনিবার ভোর রাতে পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বিশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আটকের কথা স্বীকার করেছেন।
 
আটককৃতরা হলেন গোয়ালপাড়া এলাকার ভূমি অফিসে কর্মরত রফিক, হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্তরের খালা লুৎফা ও অন্তরের বন্ধু শাহীন।
 
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার অন্তরের (১৮) খালা লুৎফার সাথে ঠাকুরগাঁও ভূমি অফিসের কর্মচারী গোয়ালপাড়া এলাকার রফিকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্তর এক সময় পরকীয়ার বিষয়টি টের পেলে লুৎফা ও রফিকের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও দিয়ে অন্তর ভূমি অফিসের কর্মচারী রফিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ভিডিও ও মেমোরি কার্ড দিয়ে দেওয়ার শর্তে। টাকার জন্য অন্তর রফিককে প্রায় চাপ সৃষ্টি করে।
 
রফিক বৃহস্পতিবার (10-11-2017) ৫০ হাজার টাকা দেনা করে অন্তরকে দেওয়ার জন্য রাজি হয়। টাকা প্রদানের আগেই রফিক অন্তরকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে অন্তরের এক বন্ধু শাহীন সাথে। রফিক অন্তরকে টাকা প্রদানের জন্য মুঠো ফোনে কল দেয় রাতেই। পড়ে শাহীন অন্তরকে ডেকে মুন্সিপাড়ার একটি লিচু বাগানে নিয়ে যায়। অন্তর রফিকের কথা মত লিচু বাগানে দেখা করলে প্রথমে ধারণকৃত ভিডিও ও মেমোরি কার্ড নিয়ে ৫০ হাজার প্রদান করেন। 
 
উক্ত টাকা পেয়ে অন্তর চলে যেতে চাইলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রফিক ও শাহীন তাকে পথরোধ করে গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অন্তর। মৃত্যুর নিশ্চিত হলে হত্যাকারী রফিক ও শাহীন উক্ত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে। হত্যাকান্ডের বিষষে এখন তথ্য অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ লিচু বাগান থেকে যুবক অন্তরের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ফারহাত আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষনিক হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম কাজ শুরু করেন। অবশেষে পুলিশের বিশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য ও অভিযুক্ত ৩ জনকে রাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
 
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ জানান, গতকাল সন্ধায় একটি গলাকাটা লাশ পাওয়ার পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমি,এএসপি সার্কেল  হাসিব ও ওসি সদর কে নিয়ে একটি টিম করা হয়। সেই টিম বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করি।
 
পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ হত্যাকান্ডের জড়িতদের আটকের স্বীকার করে বলেন, হত্যার মূল রহস্য পুলিশ তাৎক্ষনিক উদঘাটন করতে পেরে দক্ষতা পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন বলে তিনি উল্লেখ্য করেন।
 
উল্লেখ্য, হত্যাকেন্ডর স্বীকার অন্তর ইসলাম (১৮) ঠাকুরগাঁও আকচা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার নূর ইসলামের ছেলে। অন্তর দীর্ঘদিন ধরে পিকাপভ্যানের চালক হিসেবে কাজ করতো। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন