২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাস , আমার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা , ৯ মাস চলছে । স্ত্রী তান্তিয়া সারাক্ষণ অসুস্থ খেতে পারছেনা , বমি করছে , ঘুম হচ্ছে না, নানান রকমের জটিলতা । প্রথম ইস্যুর ক্ষেত্রে যা হয় । আমার পোস্টিং তখন মুন্সিগঞ্জ জেলা এএসপি হেডকোয়ার্টার্স হিসেবে । ২০০৮ এর অক্টোবর মাসে মুন্সিগঞ্জে যোগদান করেছি এর আগে ছিলাম দেশের বিখ্যাত একটি অঞ্চল ময়মনসিংহে গফরগাঁও এ সার্কেল এএসপি হিসেবে । চাকুরীর শুরুতেই এমন একটি অপরাধপ্রবন এলাকায় কাজ করাটা আমার জন্য ছিল চ্যালেঞ্জিং ও অনেক কিছুর শিক্ষণীয় বিষয় । ভালুকা, ত্রিশাল ও গফরগাঁও এই তিন থানা নিয়ে জুড়িসডিকশন । ভীষণ ব্যস্ত থাকতে হয় সারাদিন ও রাত । অন্ধকার পক্ষে প্রায় ১৫ দিনই রাতের বেলায় পেট্রোলিং করতে হয় ।
তখন
আইজিপি হিসেবে পেয়েছি সৎ ও আদর্শবাদী সেই প্রবাদ-পুরুষ নুর মোহাম্মদ স্যার কে ।
স্যারের বাড়ি কটিয়াদি যা গফরগাঁও এর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে খুব দূরে নয় । এছাড়া
পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুর গফরগাঁও এর পার্শ্ববর্তী হওয়াতে ঐসব এলাকায় অপরাধ দমন মিটিং
সহ নানা কারণে ঐসব এলাকার লোকজন দের সাথে জানা শুনা ছিল । সেই এলাকার লোকজনের
কাছেও নুর মোহাম্মদ স্যারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তির শান দেখতে পেতাম, একজন মানুষ কিভাবে মানুষের মুখে মুখে ও মনে মগজে স্থান
নিয়ে জীবন্ত কিংবদন্তী হয়ে উঠেছেন । স্যারের সাথে আমার প্রথম দেখা ২০০৬ সালের
জানুয়ারি মাসে খুলনা তে , স্যার
তখন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি । আমরা ৩৫ জনের শিক্ষানবিশ এএসপিদের দল কে স্যারের অফিসে চা চক্রের
দাওয়াত দেয়া হয় । আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত নুর মোহাম্মদ স্যারের সাথে আমাদের দেখা
হবে ! আমার গ্রামের বাড়ি টাংগাইলে , স্যার টাংগাইলের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দুই পদেই ছিলেন ।
স্যার
টাংগাইলের অনেকগুলো ঘটনা শোনালেন যা আমি আগেই জানি এরপরেও স্যারের মুখে শুনে আমরা
সবাই খুব অনুপ্রাণিত হলাম । ক্ষমতাসীন
দলের একজন সুনাম-ধন্য নেতার সন্ত্রাসী ভাই –পুলিশ কে শারীরিকভাবে এসল্ট করার ফলে স্যার কিভাবে তার বিরুদ্ধে
ব্যবস্থ্যা নিয়েছিলেন সেই গল্প আমাদের শুনিয়েছেন। এছাড়া মটর শ্রমিকদের একজন জুলুমবাজ ও
কুখ্যাত নেতা কে গ্রেফতারের পরে তার অনুসারীরা
অন্যায্য ও বেআইনি ভাবে ঢাকা টাংগাইল মহাসড়কে গাড়ি দিয়ে ব্লক করে রাখলে
কিভাবে রেকর দিয়ে গাড়ি গুলোকে নিচে ফেলে দিয়েছিলেন সেই গল্প শুনিয়েছিলেন ।
পুলিশের
কাজ সার্ভিস দেয়া হয়রানি করা নয়, পুলিশের কাজ জুলুমবাজ প্রভাবশালীদের পা চেটে তাদের স্বার্থ রক্ষা নয়
। এসব বিষয় স্যার আমাদের বোঝাতে চেষ্টা করেছেন । মনে মনে স্যারের এত বড় ফ্যান হয়ে
গেলাম যা স্যার কখনো জানতেও পারেন নাই । স্যার দেখতেও যেমন সুদর্শন মনের অবয়ব
খানিও সেইম পরিমাণ সুদর্শন , ইংরেজিতে গ্লোয়িং কথাটা আমার সবসময় মনে হয় নুর মোহাম্মদ স্যারের জন্যই , নুরের অর্থ আলো এই আলোর আভা
গ্লোয়িং সর্বদা স্যারের মধ্য পাই এবং অল্প সামান্য চেষ্টা করি নিজের চাকুরী
জীবনে স্যারের সেই এথিকস অফ পুলি-সিং কে অনুসরণ করতে , সৎ জীবন যাপন করতে ।
যে প্রসঙ্গে শুরুতে ছিলাম - ২০০৮ সালের ডিসেম্বর
মাস , আমার স্ত্রী সন্তান সম্ভব । ১২
ডিসেম্বর ২০০৮ এ জন্ম হল আমার ছেলে , দেখতে অবিকল তার মায়ের মত, প্রথম সন্তানের যে কি অনুভূতি তা যখন নার্স অপারেশন থিয়েটারের বাইরে এসে
বলল- এখানে বাবা কে ? আমি
বললাম কেন ? নার্স বললেন এই যে কোলে নেন , এটা আপনার ছেলে ! চিৎকার দিয়ে উঠছে আর
আমার ভিতরে জেগে উঠছে অদ্ভুত এক অনুভূতি ,মনে হচ্ছে এ আমার প্রাণ স্বত্তা ,আমার মন ও শরীরের অভিন্ন সত্তা । মানবিক ও সুন্দর আত্মার
মানুষ হও- এই দোয়া করেছিলাম । এরপরেই তার নাম রাখার পালা, নাম রাখতে হবে ‘ত’ দিয়ে কারণ মায়ের নাম ত দিয়ে , আমি একদিনেই খুঁজে নাম ঠিক করলাম , উল্লেখ্য যে আমার বেশির ভাগ জিনিস
ব্যতিক্রম না হলে পছন্দ না , নাম রাখার ক্ষেত্রেও সেইম । ত দিয়ে নাম রাখলাম – তিওম , আরবি শব্দ মানে হচ্ছে প্রতিচ্ছবি , এরপরে পূর্ণ নাম রাখলাম ।
যেহেতু
সেই সময় নুর মোহাম্মদ স্যারের কাজ গুলোর সাথে পরিচিত ছিলাম এবং সত্য ন্যায়পরায়ণতা
ও সেবাপরায়নতায় তিনি আমার আদর্শ, যাকে সদা আমি অনুসরণ করার চেষ্টা করি। তাঁর আদর্শের আলো তে সমাজ
রাষ্ট্র আলোকিত হয় । সেই মানবিক বোধের সেই ভালোত্বের আলো টুকু যেন আমার আরেক সত্তা আমার সন্তান কে
ছেয়ে থাকে সারাজীবন । তাই ছেলের নাম রাখা হল – দেওয়ান নুর তিওম । আমার ছেলের বয়স এখন
দশ , ইচ্ছে আছে ওকে নিয়ে যাব একদিন নুর
মোহাম্মদ স্যারের বাসায়, স্যার
তিওম কে দোয়া করে দিবেন আর তিওমের সাথে ছবি তুলবেন , স্যারকে এই বিষয়টা বলি । স্যার আমাদের যেতে বলেছেন , যাব ইনশাল্লাহ একদিন ।
বাহ্যিকভাবে যেমন সুদর্শন সুপুরুষ ঠিক তেমনই মনের ভিতরেও আলোকিত একজন প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব নুর মোহাম্মদ স্যার । একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্যারের বিজয় আমাদের কে ভীষনভাবে আপ্লুত ও আশাবাদী করেছে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের। যেকোন উন্নয়নশীল দেশের সুশাসনের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে পুলিশ একটি উল্লেখযোগ্য প্রপঞ্চ । পুলিশিং এর দ্বারা জনগনের দোর প্রান্তে সেবা প্রদানের নিশচয়তা সরকারের সাফল্য ও গতিশীলতাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই সাথে নুর মোহাম্মদ স্যারের মত আলোকিত মানুষেরা এমন পদে উচ্চাসীন হলে আমরা বুক ফুলিয়ে বলতেই পারি যে নুর টুকু ছড়িয়ে যাবে সবার মাঝে-
বাহ্যিকভাবে যেমন সুদর্শন সুপুরুষ ঠিক তেমনই মনের ভিতরেও আলোকিত একজন প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব নুর মোহাম্মদ স্যার । একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্যারের বিজয় আমাদের কে ভীষনভাবে আপ্লুত ও আশাবাদী করেছে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের। যেকোন উন্নয়নশীল দেশের সুশাসনের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে পুলিশ একটি উল্লেখযোগ্য প্রপঞ্চ । পুলিশিং এর দ্বারা জনগনের দোর প্রান্তে সেবা প্রদানের নিশচয়তা সরকারের সাফল্য ও গতিশীলতাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই সাথে নুর মোহাম্মদ স্যারের মত আলোকিত মানুষেরা এমন পদে উচ্চাসীন হলে আমরা বুক ফুলিয়ে বলতেই পারি যে নুর টুকু ছড়িয়ে যাবে সবার মাঝে-
''গ্রামে গঞ্জে সবার সাথে
এক হয়ে যায় মিশে,
এবার তিনি বিজয়ীর বেশে,
নুরের নুর টুকু
হৃদয়ের মাঝে এসে.
ছড়ান হেসে হেসে ।
এক হয়ে যায় মিশে,
এবার তিনি বিজয়ীর বেশে,
নুরের নুর টুকু
হৃদয়ের মাঝে এসে.
ছড়ান হেসে হেসে ।
ছড়িয়ে যায় নুরটূকূ চিরদিন
তাঁর হাতেই দেশের স্বপ্ন রঙিন ,
তাঁর হাতেই দেশের স্বপ্ন রঙিন ,
তাঁর স্বপ্নে স্বপ্ন রাঙে
সুশাসনের আলোর সংগে,
বাংলাদেশ জ্বলে উঠে তার হাতে
নিজের আলোটুকু মেলো এক সাথে।
সুশাসনের আলোর সংগে,
বাংলাদেশ জ্বলে উঠে তার হাতে
নিজের আলোটুকু মেলো এক সাথে।
দীর্ঘ অপেক্ষায় জাতি
আসবে এমন কেউ ,
আধার সরে যায় নতুন আশায়
বাধ ভাঙ্গে ঢেউ ।
আসবে এমন কেউ ,
আধার সরে যায় নতুন আশায়
বাধ ভাঙ্গে ঢেউ ।
শাসন করেন বারণ করেন
পথ দেখান পথ গড়েন ,
সুশাসনের পথ নয় আর দূর.
প্রতিবন্ধক বাধা সব
ভেঙ্গে হয় চুর চুর,
ছড়িয়ে যাক সবার মাঝে
নুরের সবটুকু নুর ''
পথ দেখান পথ গড়েন ,
সুশাসনের পথ নয় আর দূর.
প্রতিবন্ধক বাধা সব
ভেঙ্গে হয় চুর চুর,
ছড়িয়ে যাক সবার মাঝে
নুরের সবটুকু নুর ''
বাংলাদেশ পুলিশের জীবন্ত কিংবদন্তী সাবেক আইজিপি, সাবেক রাষ্ট্রদুত ও বর্তমানে সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ স্যার, তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা আকাশ ছোঁয়া , সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দরকার এমন দীপ্তিমান আলোকিত প্রাণ , স্যার কে মন্ত্রী হিসেবে চাই এটা আমাদের সকলের প্রাণের দাবী ।
(এই লেখাটি নুর মোহাম্মদ স্যার কে উৎসর্গীকৃত )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন