বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

ব্লু হোয়েল- চিলে কান নিয়েছে বিষয়ক একটি হুজগে ভাইরাল !




 

বর্তমানে বাংলাদেশের আলোচিত একটু ইস্যু হচ্ছে ব্লু হোয়েল নীল তিমি বা সিনিয় কিত  ব্লু হোয়েল (রুশ:  ভাষায় Siniy kit (সিনিয় কিত) একটি অনলাইন প্রতিযোগিতামূলক খেলার নাম, এটি "নীল তিমি প্রতিযোগিতা (ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ)" নামেও পরিচিত নীল তিমি বা ব্লু হোয়েল একবিংশ শতকের অনলাইন গেমগুলির মধ্যে একটি হিসাবে দাবীকৃত মূল নাম সিনিয় কিত থেকে ধারণা করা হয় একটি রুশ অনলাইন প্রতিযোগিতামূলক খেলা সোশ্যাল গেমিং পাতার  এডমিনের  নির্দেশ মোতাবেক ৫০ (পঞ্চাশ) দিন ধরে বিভিন্ন কাজ করতে হয় এবং সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে অংশগ্রহণকারীকে আত্মহত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয় বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ব্লু হোয়েল খেলতে গিয়ে ১৩০ জনেরও বেশি কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করা হয।

 


নামকরণ

নীল তিমি  নিজেই জীবনের একটি পর্যায়ে চলে আসে সমুদ্র তীরে, শুকনা ভূমিতে ধীরে ধীরে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় বাস্তব প্রমান পাওয়া যায় ২০০৮ সালে ৫৫টি নীল তিমি একযোগে সমুদ্র সৈকতে চলে আসে, উদ্ধারকারীরা তাদেরকে সাগরে ফেরত পাঠালেও তারা তীরের দিকে বারবার চলে আসে আপাতভাবে মনে হয় আত্মহত্যাই যেন তাদের উদ্দেশ্যধাপে ধাপে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া এই গেমটির নাম তাই ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেন।

ইতিহাস

এই খেলাটির মূল নাম সিনিয় কিত খেলাটি রাশিয়ায় ২০১৩ সালে প্রথম শুরু বলে জানা যায়, ফিলিপ বুদেইকিন নামে মনোবিজ্ঞানের এক প্রাক্তন ছাত্র নিজেকে ওই গেমের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করে একুশ বছরের ওই রুশ যুবকের দাবি, যারা মানসিক অবসাদে ভোগে, প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবে, তাঁদের আত্মহত্যার জন্য মজাদার পথ তৈরি করাই এই খেলার ভাবনা
ব্লু হোয়েল গেমটি ২০১৬ সালের মে মাসে রুশ পত্রিকা ন্যভায়া গ্যাজেটা এর  মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে সেখানে ভিকোন্তাকে নামের সামাজিক মাধ্যমের এফ৫৭ (এফ৫৭ মূলত ডেথ গ্রুপ নামে পরিচিত) নামের একটি গোষ্ঠীর অনুসারী কমপক্ষে ১৬ জন কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যাকে এই গেমটির সাথে সম্পৃক্ততা তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনটি রাশিয়ার উপর একটি নৈতিক ভীতির ঝড় তোলে অসংখ্য প্রতিবেদন তৈরি হয় কিন্তু এখনও এর কোনটিই সরাসরি আত্মহত্যার সাথে নিদৃষ্ট গোষ্ঠীর কার্যক্রমকে কে দায়ী করার মতো যথেষ্ট মজবুত নয়
এই গেমের সবচেয়ে আলোচিত দুই ভিকটিম হলেন, ইউলিয়া কোন্সটান্টিনোভা (১৫) ভেরোনিকা ভলকোভা (১৬) তারা দুই জন একই সঙ্গে আত্মহত্যা করেন অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশিয়া ছাড়াও আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন, পাকিস্তান, ইতালি সহ আরও ১৪টি দেশে বিভিন্ন নামে এই গেমটি চলছে

কাঠামো

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায়, প্রশাসকগন অংশগ্রহণকারীদের ৫০ (পঞ্চাশ) দিনের জন্য পঞ্চাশটি ঝুঁকিপূর্ণ টাস্ক বা কাজ দিয়ে থাকেন অংশগ্রহণকারীরা সেই সব নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে প্রমাণস্বরূপ ছবি বা ভিডিও পাঠান বা নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়ায় সেগুলি প্রকাশ করেন সর্বশেষ, পঞ্চাশতম চ্যালেঞ্জটি হলো আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা করতে পারলেই খেলোয়াড় বিজয়ী খেলাটির অন্যতম বিশেষ দিক, একবার খেলায় অংশগ্রহণ করলে খেলাটি কোনোভাবেই বন্ধ (আনইন্সটল) করা যায় না[ এমনকি কেউ বন্ধ করলে তাকে অনবরত নিজের এবং তার পরিবারের মৃত্যুর ভয় দেখানো হয় অ্যাডমিনদের সাথে অংশগ্রহণকারীদের যোগাযোগ করার উপায় সম্পর্কে কাউকে বলা নিষেধ নির্ধারিত কাজটি শেষ করার সমস্ত প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলার নির্দেশনা থাকে শুরুর দিকের কাজগুলো বেশ সহজ এবং অন্যান্য গেমের চেয়ে আলাদা হওয়ায় অংশগ্রহণকারীরা মজা পেয়ে যায় ২০১৫ সালে গেমটির জের ধরে প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে এবং প্রতিদিন ইন্সটাগ্রামে ব্লু হোয়েল গেমটিতে কে কোন লেভেলে আছে তা পোস্ট করার রীতিমতো একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা করতে দেখা যায়
ধারাবাহিকভাবে, প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা, ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হয়, অংশগ্রহণকারীকে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আঁকতে হয় আগেই কাগজে আঁকা তিমির ছবিটা, একা একা ভূতের চলচ্চিত্র দেখতে হয়, চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে প্রতিদিন একেকটি দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং প্রতিটি দিনের মধ্যেই শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকে।
এই খেলার অংশগ্রহণকারীকে তাৎক্ষনিক ভাবে আত্মহত্যায় প্রলোচিত করা হয় না, কিন্তু একজন কিশোরকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যায় অসহায় এবং কঠোর এক পারিপার্শ্বিকতায় রুশ মনোবিজ্ঞানী ন্যাতালে ল্যাভেদেভা তার আভিজ্ঞতা থেকে জানান, খেলাটিতে আসক্ত অংশগ্রহণকারীদের মানসিক অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে যায় এবং খেলার চ্যলেঞ্জগুলি তাদের স্বাভাবিক পারিবারিক দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাকে অনেক ঝুঁকিপুর্ন অবস্থায় নিয়ে যায় আত্মহত্যায় প্রলোচিত করে

গ্রেফতার

২০১৬ সালে ফিলিপ বুদেইকিন নামে মনোবিজ্ঞানের এক প্রাক্তন ছাত্র (যাকে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল) ব্লু হোয়েল গেমের আবিস্কারক হিসাবে গ্রেপ্তারকৃত হয় সে দাবী করে, তার খেলার শিকারদের বায়োলজিক্যাল ওয়েস্টবলে দাবি করেন এবং তিনি সমাজকে আবর্জনামুক্ত করছেন বলে জানান, তার উদ্দেশ্য মূল্যহীন মানুষদের আত্মহত্যায় উৎসাহিত করে সমাজকে পরিচ্ছন্ন করা  বুদেইকিন নির্দোষ এবং এটাকে নিছক মজা দাবী করলেও ২০১৬ এর মে মাসে সে নুন্যতম ১৬ জন কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার উস্কানিদাতা হিসাবে গ্রেপ্তারকৃত হয় এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ  পরবর্তীতে সে দুইজন নাবালক আত্মহত্যার উস্কানির জন্যে দোষী প্রমাণিত হয়।


ব্লু হোয়েল এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু কথা, আসুন আমরা প্রকৃত বিষয়টা জানি

''বাংলাদেশে নতুন আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক মরণঘাতি গেমস ব্লু হোয়েল অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৬১ জন ব্লু হোয়েলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে ভারতে এই সংখ্যা ১৩০ এর মধ্যে পশ্চিবঙ্গেই মারা গেছে অন্তত ২০ জন এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর এই গেমের বলি হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মেধাবী তরুণ-তরুণী গত দুমাস ধরে ভারতজুড়ে চলছে ব্লু হোয়েল আতঙ্ক ৫০ ধাপের এই খেলায় শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ংকর নয়৷ বরং বেশ মজারই৷ আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা৷ আর গেমে প্রবেশ করে তারা বিবেকহীন হয়ে পড়ে ৩১ ধাপে গিয়ে তাকে নিজের ওপর আঘাতের বিভিন্ন প্রক্রিয়া শুরু হয় এটা মাদকাসক্তের চেয়ে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর এই গেমের সফটওয়্যার লিঙ্ক ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে সর্বশেষ ব্লু হোয়েল গেমের শিকার হয়েছে রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল রোডের এক কিশোরী বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয় তার পড়ার কক্ষ থেকে

কিশোরীর নাম অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা ছিল তুখোড় মেধাবী স্কুলের ফার্স্ট গার্ল হিসেবেই পরিচিত ছিল সে ওয়াইডব্লিউসিএ হাইয়ার সেকেন্ডারি গালর্স স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সম্মিলিত মেধা তালিকায় ছিল প্রথম ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ফার্মগেটের হলিক্রস স্কুলে তার বয়স ছিল মাত্র তেরো পড়ছিল অষ্টম শ্রেণিতে হলিক্রস স্কুলে ভর্তির পর থেকে বদলে যেতে থাকে সে পড়াশোনার জন্য সে ব্যবহার শুরু করে ইন্টারনেট কয়েক বছর আগে থেকেই এনড্রয়েড মোবাইল ফোনও ব্যবহার শুরু করে স্বর্ণা ফেসবুকসহ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার চলছিল এরমধ্যে সবার অজান্তে সে ঢুকে পড়ে ইন্টারনেটের এক নিষিদ্ধ গেমসে নিহত কিশোরীর পিতার সন্দেহ, তার আদরের মেয়ে ঢুকে পড়েছিল ইন্টারনেটভিত্তিক ডেথ গেমস ব্লু হোয়েলে বুধবার দিবাগত শেষ রাতে সে নিজের পড়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে পরদিন বৃহস্পতিবার ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় নিউ মার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৪৪ নম্বর বাসা ৫বি ফ্ল্যাট থেকে ব্লু হোয়েলের কিউরেটরের নির্দেশ মতো লিখে যাওয়া একটি চিরকূটও উদ্ধার করা হয় তা এখন পুলিশের হাতে তাতে বড় করে লেখা, ‘আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়লেখা শেষে গেমসের নির্দেশনা মতো একটি হাসির চিহ্ন আঁঁকা''
(দৈনিক ইত্তেফাক, ১০-০৯-২০১৭)

এবার নিচের বিষয় গুলো যাচাই করে আমরাই বুঝতে পারব আসলে ব্লু হোয়েল গেমের দ্বারা বাংলাদেশে কেউ আত্নহত্যা করেছে কিনা -



. ব্লু হোয়েল একটি  পারসোনাল কম্পিউটারের গেইম যা ডেক্সটপ ল্যাপটপে খেলা যায়


. এই গেইম টা রিয়েল আইপি ছাড়া লগইন করা যায় না


রিয়েল আইপি কি-
রিয়েল আইপি হল সেই আইপি যার অস্তিত্ব বাস্তবে আছে এবং পৃথিবীর সব ডিএনএস সার্ভারে এর পাবলিক ইনফরমেশন গুলো থাকবে যেমনঃ আইপিটি কোন আইএসপির অন্তর্গত, লোকেশন কোথায় ইত্যাদি যেমনঃ এই www.iplocation.net ওয়েবসাইটে গিয়ে যেকোন আইপির পাবলিক ইনফরমেশন গুলো পাওয়া যায় আপনি আপনার পিসিতে কোন অ্যাপ্লিকেশন হোস্ট করলে তা ওই আইপি দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে এক্সেস করা যাবে এমনকি আপনার নরমাল ডেক্সটপ পিসিতে আপনি চাইলে ওয়েবসাইটও হোস্ট করতে পারবেন আসলে রিয়েল আইপি বলতে আমরা যা বুঝি তাকে ডেডিকেটেড পাবলিক আইপি বললেও ভুল হবে না যারা লিনোদ, ডিজিটাল ওশিয়ান বা অন্য যেকোনো প্রভাইডার থেকে ভিপিএস সার্ভার ব্যবহার করেন তাদেরকে সবসময়ই একটি আইপি এড্রেস দেয়া হয় যাকে আমরা ডেডিকেটেড আইপি হিসেবেই চিনি এই আইপিটিকেই লোকাল আইএসপি রিয়েল আইপি বলে থাকে।




. গেইম টা শুধুমাত্র ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যায় আমরা অনেকেই হয়ত ডার্কওয়েব এর নাম শুনি নাই, এটা গভীরতর ওয়েবের একটা ক্ষুদ্র অংশ
- The dark web forms a small part of the deep web, the part of the Web not indexed by search engines, although sometimes the term deep web is mistakenly used to refer specifically to the dark web.


. ডার্ক ওয়েব এডভান্স লেভেলের আইটি জ্ঞান ছাড়া নরমাল কারো পক্ষে ঢুকতে পারা সম্ভব না (ঢুকতে পারলেও লিংক এর জন্য গুগলের দ্বারস্থ হতে হবে )


কী থাকে ডার্ক ওয়েবে-


প্রশ্নটা বরং এমন হওয়া উচিত, কী থাকে না ডার্ক ওয়েবে! জাল পাসপোর্ট চান? পেয়ে যাবেন পেশাদার খুনী চান? পেয়ে যাবেন পাইরেটেড বই, সিডি লাগবে? কোনো ব্যাপারই না! আর দুর্ধর্ষ সব হ্যাকিং টুল তো খুবই সহজলভ্য! যেকোন ধরণের ড্রাগস, চলবে? আছে! খুন, টর্চার, রেপ, এনিমেল কিলিং, জ্বী সবই আছে তাতে।


এসব তো ছেলেখেলা আরো গভীরে ঢোকা যাক রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, অস্ত্র বেচাকেনা, এসবও কিন্তু ডার্ক ওয়েবে আছে তবে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার এসবের হদিস পায় না, আপনি যদি মনে করেন যে ডার্ক ওয়েবে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াবেন, কেউ কিছুই টের পাবে না, বড় ভুল করবেন বিশাল বিপদে পড়ে যাবেন এই তো কিছুদিন আগেই ডার্ক ওয়েবের কুখ্যাত চোরাই বাজার সিল্ক রুট বন্ধ হয়ে গেলো পর্যন্ত পড়ে হয়তো আপনি খুব এক্সাইটেড হয়ে গেছেন ভাবছেন, যাই ঢুকে দেখি ব্যাপারটা কী! একেবারে ধুন্ধুমার লাগিয়ে দিই! আসলে ব্যাপারটা সেরকম না।


ডার্ক ওয়েব অনেক স্লো একটি নেটওয়ার্ক এখানে একটি সাধারণ মানের ভিডিও বাফার হতেও অনেক সময় লেগে যায় মাঝে মধ্যে আর নিষিদ্ধ জিনিসের সমাহার আছে বলেই যে তা একদম তাকে সাজিয়ে রাখা আছে এমনটাও না ব্যাপারটা ডার্ক ওয়েব নিয়ে প্রচলিত আছে নানারকম মিথ এগুলোর কিছু সত্য, কিছু অর্ধ সত্য, কিছু মিথ্যা এগুলো নিয়ে ব্লগে, ফোরামে নানারকম আলোচনা চলে, কিন্তু সত্যিকারের সত্যিটা কিছুটা অস্পষ্টই এখনও।


. ডার্ক ওয়েবে কোন স্কিন শট নেয়া যায় না


. ডার্ক ওয়েব এর ওয়েবসাইট হয়, কিন্তু কোন লিংক হয় না সেসব ওয়েবসাইটে ক্রোম, ফায়ারফক্সের সাহায্যে ঢুকতে পারবেন না


. গেইম টা বিট কয়েন দিয়ে কিনতে হয় বিট কয়েন ,
1 bit = 1 microbitcoin = 1 μBTC = 0.000001 bitcoin (BTC)
The term “bit” is a popular new unit being used to represent smaller Bitcoin amounts. Due to the rising value of 1 bitcoin (currently 1 BTC = $5550 USD),.


. এটা কোন Apk or exe ফাইল না, ব্রাউজ করে খেলতে হয় অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেয় ১২ লেভেল পার করেছে , ২৬ লেভেলে আছে একেবারেই বোগাস কথা এটা , কারন অরজিনাল কপি হইলে আপনার আইপি এমন ভাবে ওদের কাছে ধরা খেত যে আপনি চিন্তায় মরে যেতেন ফেসবুক পোস্ট দিতেন না !! প্রথমেই বলেছি যে রিয়েল আইপি ওদের সার্ভারে হার্ডলি জমা হয় বাংলাদেশে রিয়েল আইপি ব্যবহারকারী ফ্রীল্যান্সার + PSN PADE ছাড়া কেও নেই বললেই চলে ("Play station Network")


সুতরাং  বাংলাদেশে ব্লু হোয়েলের দ্বারা কেউ আত্নহত্যা করেছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় কারন উপোরোক্ত বিষয় গুলি আলোচনার ফলে আমরা এটা বুঝতে পারি যে ঐসব criteria অনুসরন করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এদেশে ভাগ আছে কিনা সন্দেহ , সুতরাং  
 বাংলাদেশে ব্লু হোয়েল হচ্ছে একটি ফোবিয়া , যা হুজুগ তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটাকে ভাইরাল করা ছাড়া আর কিছু নয় আসুন আমরা এটাকে শেয়ার বা ভাইরাল না করে আজকে থেকেই মাথা ইনবক্স থেকে ডিলিট করে দেই
সুত্র-
Clifton, Christopher (২০১০) "Encyclopædia Britannica: Definition of Data Mining"
ডার্ক ওয়েব- ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতের কথা-হাসান মাহবুব
bn.wikipedia.org








 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন