সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের দিনগুলি -আইভরিকোষ্টে শান্তিরক্ষা র্কাযক্রম ও বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট



‘’পাহাড় ছুঁয়ে আকাশ ছোয়া নীল আকাশের ব্যাপ্তি
শাদা কাক উড়ে যায় লুকোচুরি লুকোচুরি সুপ্তি
এবনি ওক আর মেহগনি জারুল বনানী
আটলান্টিকের কোল জুড়ে সমগ্র দেশখানি ,
পথগুলো ছবির মতন উচু নিচু পর্বত
প্রকৃতি উবে যায় জেগে জেগে কত জলরাশি আর হ্রদ’’



পাহাড় সাগর বন বনানী আর শাদা কাক সর্প গিরগিটি অজগর আগুটির দেশ আইভরিকোষ্ট । ১লা মার্চ ২০১৩ খুব সকালে আবিদজান এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পর মনটা একেবারে বিষিয়ে উঠছিল ভীষন , লাল সবুজ ছেড়ে এ কোন ভুমিতে এলাম । ভয়ঙ্কর খারাপ লাগা আমাকে গ্রাস করে ফেলল ,সকালের নাস্তাটাও খেতে পারলাম না, যেদিকে তাকাই দেখি কালো কালো মানুষেরা আর আবিদজানের আকাশ্চুম্বী অট্রালিকাসমুহ , এরপরে রওনা হলাম আমাদের নির্ধারিত কর্মস্থল প্রশাসনিক রাজধানী ইয়ামুসুক্রের উদ্দেশ্যে , তিন ঘন্টার পথ, শহর পেরিয়ে আসার পর শুধু জংগল আর জংগল , আসেপাশে কোন লোকালয় নেই, অনেক প্রশস্ত রাস্তা , বড় বড় দুটি লেন, একটাতে শুধু গাড়ি যাচ্ছে আরেকটাতে গাড়ি আসছে , কোথাও কোন যানযট নেই , গাড়ি গুলো অনেক গতি তে চলছে আলাদা লেন হবার কারনে দুর্ঘটনা নেই বললেই চলে , অনেক ক্ষন পর পর একটা দুটা স্টপেজ পাওয়া যাচ্ছে যেখানে মেয়েরা ফলমুল রুটি কাসাভা মাছ বিক্রি করছেন অনেকটা আমাদের দেশের মত একটা গাড়ি আসা মাত্রই সবাই ঘিরে ধরছেন গাড়িটাকে ,উদ্দেশ্য যাত্রীদের কাছে জিনিস বেচা , অনেক টা গুলিস্থানের দোকানদার দের ক্রেতাদের টানাটানির মত।




 আর পথ গুলো এতটা বন্ধুর যে একপাশ থেকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে উচু একটা পাহাড়ে উঠছি আবার পাহাড়টাকে ছুয়ে অনেক অনেক ঢাল বেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছি, বহুদুর থেকে একেবারে সোজা উচু পথটাকে দেখা যাচ্ছে এবং কিছুক্ষন পর মনে হচ্ছে ঐ উচুটাকে ছুয়ে ফেললাম এবার সামনের ঢাল বেয়ে আরেকটা উচু ছুয়ে ফেলব, আর পাহাড়ের পাদদেশে কোকয়া কাসাভা কলার বাগান, দুপাশের জংগল মাঝে মাঝে রাস্তা ছুয়ে ছুয়ে যাচ্ছে , হঠাৎ চোখ স্তব্দ হয়ে গেল কাক দেখে , কাকের গায়ের রঙ শাদা , অল্প একটু অংশ শুধু কালো, ভীষন ভাল লাগছে , মনের ভিতরে একটু একটু ভাল লাগা কাজ করছে ।


প্রকৃতি তুমি আমায় শান্তি দাও এই অশান্তির দেশে , অশান্তির দেশ এই জন্যে বলছি কারন আইভরিকোষ্ট যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ যা এক সময় জিডিপিতে আফ্রিকার সেরা ছিল, ফ্রান্সের সাবেক কলোনী এই দেশ । প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার ১,২৪,৫০৩ বর্গমাইলের এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করে ৭ই আগষ্ট ১৯৬০ সালে , ১৯৬০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত এই দেশের নেতৃত্ব দেন কিংবদন্তী রাষ্ট্রনায়ক ফেলিক্স হুফে বোঈনী, এরপরে ১৯৯৯ সালে সামরিক ক্যু, ২০০০ সালের ব্যর্থ নির্বাচন ও ২০০২ সালের আবার ব্যর্থ সামরিক ক্যু  দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। অবশেষে ২০০৩ সালের জানুয়ারী মাসে আইভরিকোষ্টের সকল রাজনৈতিক দল ও বিদ্রোহী দের মাঝে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ফ্রান্সে যা LMA চুক্তি নামে পরিচিত । এই চুক্তি অনুযায়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘোষনা করা হয় এবং ২০০০ সালের নির্বাচনে জয়ী FPI নামে রাজনৈতিক দলের নেতা লরেন্ট বাগবো কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় । এই চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইভরিয়ানদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল জাতিসংঘ এই দেশে একটি শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন যার নামকরণ করা হয় ONUCI (united nations operation in cote d’ivoire ) রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদ্যমান থাকায় ONUCI এখনও আইভরিকোষ্টে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশ পুলিশ ONUCI তে তাদের FPU(formed police unit ) পাঠানো শুরু করেছে ২০০৫ সাল থেকে , উল্লেখ্য যে আইভরিকোষ্টেই প্রথম বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট এর প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় , বুয়াকে নামক শহরে BANFPU-1 ONUCI এর আওতায় এর শান্তিরক্ষা মিশন কার্যক্রম শুরু করে, এরপরে ২০০৬ সালে ইয়ামুসুক্র শহরে BANFPU-2 তার যাত্রা শুরু করে , বিগত ৫ টি রোটেশন শেষ করে আমরা ৬ নং রোটেশন শুরু করি ২০১৩ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী থেকে । ২০১৪ এর মার্চে আমাদের রোটেশনের সাফল্যমন্ডিত সমাপ্তি সম্পন্ন হ


আইভরিকোস্টে স্বাধীনতা দিবস :

মোদের আধাঁর রাতে বাধার পথে
যাত্রা নাঙ্গা পায়,
আমরা শক্ত মাটি রক্তে রাঙাই
বিষম চলার ঘায়


বাংলাদেশ পুলিশের চির উন্নত শিরের ঐতিহ্যবাহী শৌর্য বীর্যের ধারক ও বাহক আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির ক্রান্তিকালে এই বাহিনীর ভূমিকা আমাদের অবয়বকে করেছে সমুজ্জ্বল, স্বমহিমায় দীপ্তমান। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে থাকার কারণে সেই বছর স্বাধীনতা দিবস কেটেছে আইভরিকোস্টের ইয়ামুসুক্রতে।

যথারীতি প্রতীকি স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সালামি জ্ঞাপনের মাধ্যমে দিনটি শুরু হয়েছে। এরপরে ব্যানেফপিও-২ এর আয়োজনে স্বাধীনতা দিবসের এক উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় কমান্ডার পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে। অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ এই ব্যতিক্রমী আলোচনা সভাতে সকলেই যার যার মুক্তিযুদ্ধ উপলব্ধি এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে প্রত্যেকেই তাদের বাবাদের কৃতিত্ব তুলে ধরেন।




প্রথমেই উঠে আসে এএসআই খোরশেদ, যার বাবা ২৫ মার্চের কালো রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রথম প্রতিরোধকারীদের একজন এবং যিনি দেশের জন্যে জীবন দান করেছেন। তার বাবার নাম শহীদ কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী। বাবা শহীদ হওয়ার সময় এএসআই খোরশেদের বয়স মাত্র ১ মাস। তিনি কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বাবাবিহীন সারাটা জীবনের কথা বলেন। তার জীবনে বাবার কোনো স্মৃতি নেই। বাবা ছাড়া এতগুলো ভাই-বোন নিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ের বর্ণনা দেন যা আমাদের সবাইকে ভীষণ নাড়া দেয়।

এরপরে আসেন সিনি. এএসপি মেসবাহ, যিনি ৭১ সালে স্কুলে পড়েন, তার বাবা নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার ওসি ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে তার প্রত্যক্ষ করা সুধারাম বাজারের একটি ঘটনা বর্ণনা করেন, যা আমাদের দেশপ্রেমকে উজ্জীবিত করে তোলে। সুধারাম বাজারে তিনি গিয়েছিলেন রুটি কিনতে। তখন দেখেন যে একটি ট্রাকে তিনজনকে চোখ বেঁধে ওঠানো হয়েছে, যাদের একজনের বয়স ছিল ২০/২১ এর মতন, তাকে বার বার পাকিস্থান বলতে বলা হলেও তিনি বন্দুকের নলের সামনেও নিঃশঙ্ক চিত্তে বলেছেন জয় বাংলা’! সাথে সাথেই ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যায় সেই দেশপ্রেমিক বুক। এমনি কত জানা-অজানা ঘটনায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, যা আমাদের অহংকার, আমাদের প্রেরণা।
এরপরে আসেন ডা: হুমায়ুন কবির যিনি ৭১ সালে ক্লাস সিক্সের ছাত্র, তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ি, তার বাড়ির আঙিনায় মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রের কোঁত করে রেখেছিলেন এবং সেখান থেকে তিনি দুটি গুলিও করেছেন।
এস আই জোবায়ের কান্না বিজড়িত কণ্ঠে জানান যে রাজাকার, আল বদর বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় তার কয়েকজন নিকটাত্মীয় প্রাণ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ডেপুটি কমান্ডার জানান তার বাবার গাড়ির সিলিন্ডার কেটে বিকট শব্দে পঞ্চগড় জেলা হানাদারমুক্ত করার ঘটনা। এছাড়া তার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সময় তিন দিন না খেয়ে শুধু পানি খেয়ে জীবনধারণ করেছেন।

সংক্ষেপে ঃ

 BANFPU-2  (Rotation-6)  ONUCI   আইভরিকোস্ট

যাত্রা শুরু        :      ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ ইং
সদস্য সংখ্যা     :     ১৮০ জন
স্থান              :  ইয়ামুসুক্রো, আইভরিকোস্ট

কমান্ডার       :    জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম
                    পুলিশ সুপার .

ডেপুটি কমান্ডার : জনাব দেওয়ান লালন আহমেদ
                   অতিঃ পুলিশ সুপার

 রোটেশন শেষ  :     ১৪ র্মাচ, ২০১৪ ইং

নিয়মিত কার্যক্রমঃ

আইভরিকোস্টে শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার নিমিত্তে  ONUCI এর ম্যান্ডেট সমুন্নত রাখাই মূলত  BANFPU-2 (Rotation-6) ONUCI, এর কাজ লক্ষ্যে তারা নিম্নলিখিত কার্যাবলী সম্পন্ন করে থাকেঃ

       দৃশ্যমান নিজস্ব টহল কার্যক্রম
       . ONUCI  এর সাথে যৌথ টহল কার্যক্রম
       . স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যৌথ টহল কার্যক্রম
       . এছাড়া ONUCI কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য কার্যাবলী


      
অন্যান্য কার্যক্রমঃ

       . স্থানীয় দরিদ্র লোকদের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা  প্রদান
       স্থানীয় / টি স্কুলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ





দেশীয় মূল্যবোধের চর্চাঃ 

বাংলাদেশ থেকে ১৩০০০ মাইল দূরে থাকার কারণে দেশের প্রতি মমতাবোধ, ভালোবাসা এবং পিছুটান যেন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে BANFPU-2 (Rotation-6) ONUCI,  এর ১৮০ জন সদস্যের প্রত্যেকেই সুযোগ পেলেই তাই আমরা  আয়োজন রতাম দেশীয় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের, অবসর কাটাতাম দেশীয় খেলাধুলা (যেমন- ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দাবা, ক্যারাম) আর ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুশীলনের মাধ্যমে


       কমান্ডার মহোদয়ের আন্তরিক উদ্যোগে সেখানে  উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস, ফোর্সদের বিনোদনের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বনভোজন, উদযাপিত হয়েছে ঈদ-উল ফিতর, ঈদ-উল আযহা  দূর্গা পূজা রানা প্লাজার ট্রাজেডিতে আয়োজন করা হয় বিশেষ মিলাদ মাহফিলের

আইভরিকোষ্টের ঈদ উদযাপন  ও লা গ্র্যান্ড মসক দঁ ইয়ামুসুক্র ঃ

ও মন  রমজানের ঐ রোজার শেষে
এল খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে
শোন আসমানী তাগিদ ।
আজ ভুলে গিয়ে দোস্ত দুশমন
হাত মিলাও হাতে
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল
ইসলামে মুরীদ ।



দীর্ঘ তের হাজার কিঃমিঃ দুরের প্রবাস জীবন আর দেশ ছেড়ে, পরিবার পরিজনদের ছেড়ে আইভরিকোষ্টে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হল, আমাদের ১৮০ জনের ঈদ উদযাপন । জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের বাংলাদেশের  ফর্মড পুলিশ ইউনিট-২ এর ক্যাম্প আইভরিকোষ্টের প্রশাসনিক রাজধানী ইয়ামুসুক্রতে , ইয়ামুসুক্র আইভরিকোষ্টের চতুর্থ বৃহৎ শহর জনসংখ্যার দিক থেকে , মোট জনগোষ্টির ৩৮.৬ ভাগ মুসলিম, ৩২.৮ ভাগ খ্রিস্টান এবং বাকী ২৮ ভাগ আফ্রিকান বিভিন্ন গোত্রীয় ধর্মাবলম্বী । ঈদুল ফিতরের নামাজ ক্যাম্পে শেষ করে আমরা উপস্থিত হই -লা গ্র্যান্ড মসক দঁ ইয়ামুসুক্রতে , এটা আইভরিকোষ্টের প্রাক্তন কিংবদন্তী রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স হুফে বোঈনী এর প্রথম কাজ যা প্রশাসনিক রাজধানীর প্রত্নতাত্তিক গৌরবের নিদর্শন, ইয়ামুসুক্রের সবচেয়ে সুন্দরতম ও বড় মসজিদ  । এর সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে মুসলিম অমুসলিম ও পর্যটকরা আগমন করেন । ১৯৬৩ সালে এর নির্মান কাজ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ১৯৬৮ সালে ।





পবিত্র এই দিনে আমরা ব্যানেফপিইউ-২ এর কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা ও ফোর্স মিলে এই মসজিদ প্রাংগনে মিলিত হই আইভরিয়ান গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে   , হাতে হাত বুকে বুকে কাধে কাধ মিলিয়ে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হই । এরপরে বিস্কুট, ফল ও খেজুর বিতরন করি তাদের মাঝে , সাথে বাংলাদেশের পতাকা ।যার টানেই এই বিদেশ বিভূঁইয়ে এতগুলো জোয়ান, বুকে দেশমাতৃকার উদ্দীপ্ত শপথে বলীয়ান আর মুসলিম ধর্মীয় আদর্শে সোচ্চার । সবমিলিয়ে দেশ ছেড়ে ঈদের না পাওয়া আনন্দ ও কষ্ট মুহুর্তেই ম্লান হয়ে গিয়েছিল এই সব আইভরিয়ান দের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে

শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ আইভরিকোষ্টে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে , চৌকষ এই বাহিনীর উৎকর্ষতায় সমুজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের পতাকা, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ হয়েছে প্রস্ফুটিত ও গৌরবোজ্জলশান্তির বারতা ছড়িয়ে পড়ুক সমগ্র বিশ্বের দ্বন্দ্ব কলহের মাঝে, জেগে উঠুক শান্তির পায়রা ।


(মনের মনিকোঠায় আইভরিকোষ্টের সেই সোনালি দিনগুলিতে যাদের নাম - শ্রদ্ধাভাজন কমান্ডার পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম স্যার, স্যারের ভাতৃত্বসুলভ ও বন্ধুবৎসল মনোভাব কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করছি, এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসের, সাইদুল, আনিস,মতিয়ার , শিশির , মোরতোজা , নবজ্যোতি খীসা, মেসবাহ, দুষ্টু ডাক্তার গোবিন্দ, ডাঃ হুমায়ুন সহ সর্ব কাজের পারদর্শী ও টেকনিক্যাল এক্সপার্ট দীনেশ চাকমা সহ সকলেই যাদের নাম উল্লেখ করা হল না  )



২টি মন্তব্য: